অফিসে পহেলা বৈশাখ আয়োজন যেভাবে কোম্পানি কালচার তৈরিতে সাহায্য করে!
আসসালামু আলাইকুম! শুভ নববর্ষ!
আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হচ্ছে- বাংলা বছরের প্রথম দিন : ‘পহেলা বৈশাখ’- এতো হলো পুরোনো কথা; নতুন কথা হচ্ছে – আমাদের অফিস কালচারেরও খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে – এই পহেলা বৈশাখ আয়োজনসহ এই ধরনের আরো অনেক আনন্দ আয়োজন। আমার নিজের কোম্পানীগুলোতে আমি বরাবরি এ ধরনের উৎসব আয়োজন করে থাকি যেখানে সব কিছুর দ্বায়িত্তে থাকেন আমার টিমমেটরাই এবং এর ফলাফলও কিন্ত দারুন । এ ধরনের আনন্দ আয়োজন করার ধরন এবং এ থেকে কি ধরনের বহুমুখী উপকার পাই, তা একটু আলোচনা করছি এখানে-
- অফিসে পহেলা বৈশাখের মত আয়োজন করাটা কিন্ত খুব সহজ কাজ না৷ এ আয়োজনটি করতে অনে্কগুলো টিম তৈরী করা হয়। একেক টিম/কমিটি একেকটা কাজ করে থাকে, কিছুটা প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এর মত করে, হ্যা আমরা কিন্ত প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুলসও ইউজ করে থাকি এ ধরনের আয়োজন সফল্ভাবে করার জন্য। কোনো টিমের দ্বায়িত্ত থাকে অফিস ডেকোরশন করা, কোনো টিম থাকে ফুড ম্যানেজমেন্টে, কোনো টিম থাকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে আর কোনো টিম থাকে পুরো ব্যাপারটি তদারকিতে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন টিমমেটদের ভেতর এমন আয়োজনের মাধ্যমে একটি ভালো বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরী হয় যা কিনা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক সম্পৃতি তৈরীতে ভীষণ কার্যকরী।
- লিডারশিপ এমন একটি রোল যেটার অভাব কিন্ত আমরা সবসময়েই আমাদের কোম্পানিগুলোতে বোধ করি। অফিসে বিভিন্ন রকম আনন্দ আয়োজন করার মাধ্যমে টিমমেটদের মাঝে এই লিডারশিপ কোয়ালিটি ডেভ্লপ করার স্কোপ থাকে।
- প্রোজেক্ট ম্যনেজমেন্ট স্কিল গ্রো করার একটি অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতি হচ্ছে – অফিসে এমন সব আনন্দ আয়োজন করা এবং পুরো আয়োজনের দ্বায়িত্ত টিমের উপরে দিয়ে দেয়া। এতে করে খুব সহজেই একটি টিম হিসেবে কিভাবে কাজ করা সম্ভব সেটি যেমন শেখা সম্ভব একই রকমভাবে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্কিলের হাতে খড়িও সম্ভব এখান থেকেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে – এ ধরনের প্রোগ্রাম করতে করতে আমার টিম এতটাই দক্ষ হয়ে গেছে যে – কিছুদিন আগে আমার কোম্পানী স্টার্টাইজ এর উদ্বোধনী অনুষ্টান এবং প্রতিবছর পুরো টিম নিয়ে দেশের বাইরে যে টুর দেই, সেটাও কিন্তু টিমমেটরাই এরেঞ্জ করেছে।
- আমরা যারা ফাউন্ডার তাদের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে – টিমের ভেতরে ওনারশিপ তৈরী করা। পহেলা বৈশাখ, ঈদ পুনঃমিলনী অনুষ্ঠান, ওয়ান ডিশ পার্টি, ইংরেজী নতুন বছরের প্রোগ্রামসহ এমন আয়োজনে পুরো টিমকে এনগেইজড করে একদিকে যেমন আমি আমার এইচ আর ক্যাপাসিটির পুরোটা ইউজ করতে পেরেছি, একই রকমভাবে এর মাধ্যমে তারা কোম্পানির কালচার এবং কোম্পানীকে ওন করার ব্যাপারটিও স্বতস্ফুর্তভাবে ধারন করে যা কিন্তু কোম্পানীর গ্রোথে বহুমাত্রিক ভূমিকা পালন করে।
নতুন বছরে যেন আমরা আমাদের ইন্ড্রাস্টিকে আরো নতুন কিছু দিতে পারি, নিজেদের বিজনেসে আরো অনেক ধরনের মাইলস্টোন পাড় করতে পারি – এই শুভ কামনা করছি। সবাইকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর শুভেচ্ছা।