এখনো পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে দারুন একটি স্বপ্নের মত লাগছে,আমি সত্যি অর্থেই ২০২৪ বেসিস নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েই দিলাম।

এখনো পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে দারুন একটি স্বপ্নের মত লাগছে। আমি সত্যি অর্থেই ২০২৪ বেসিস নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েই দিলাম। বেসিস হচ্ছে সম্মানিত মেম্বারদের সংগঠন, তাই মেম্বারদের প্রতি আমার কিছু প্রচেষ্টা পরিকল্পনা শেয়ার করলাম – – কান্ট্রি ব্রান্ডিং হবে এবার আমার সবচেয়ে বড় মিশনগুলোর একটি। নিজের ব্যবসায়ের কাজে গেল ২০ বছরে প্রচুর ট্রাভেল করতে হয়েছে, অরগানাইজ করতে হয়েছে প্রচুর ইভেন্ট, এক্টিভেশন। মন খারাপ লাগত এটা দেখে যে, যেখানে প্রতিবেশি দেশগুলোর অনেক কোম্পানী অংশগ্রহন করেছ সেখানে বাংলাদেশী কোম্পানী একদমই হাতে গোনা। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে একবারে দেশের ঝান্ডা, বেসিসের পতাকা পুরো বিশ্বে বয়ে বেড়াতে চাই, বাংলাদেশকে একটু ‘আইটি হাব’ হিসেবে পরিচিতি করতে চাই। – আমি বা আমার কোম্পানী লোকাল মার্কেটে কাজ করিনা, সেটার কারন ব্যবসায়িক। বেসিসে নির্বাচন করার আমার ব্যবসায়িক কোনো উদ্দেশ্য নেই এবং সেটি সম্ভবও নয়, যেটা আমার আছে সেটি হচ্ছে -এই দেশের আইটি কমিউনিটির প্রতি ভালোবাসা এবং সবার কাছ থেকে শেখার তুমুল আগ্রহ। আমি মনে করি – নলেজ শেয়ারিং এর মাধ্যমে, সবাই একসাথে দেশের আইসিটি ব্যবসায়কে খুব সহজেই পরের ধাপে নিয়ে যাওয়া যায়।
– আমি কখনই শুধু একা একা বিজনেস গ্রো করতে চাইনি৷ আমার উদ্যোক্তা জীবনের প্রথম থেকেই আমি আইটি কমুনিটিতে পজেটিভ ইনপুট দেয়ার চেষ্টা করেছি। এখনো আমার প্রতি সপ্তাহের ক্যালেন্ডারে একাধিক ওয়ান টু ওয়ান মিটিং থাকে দেশের প্রমিজিং এবং তরুন উদ্যোক্তাদের সমস্যার কথা শুনি, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকি।এটি আমার খুব ভালোবাসার একটি কাজ। এই কাজটি আমি আরো গোছানো এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করতে চাই, যার জন্য বেসিসের মত একটি প্লাটফর্ম সবচেয়ে আদর্শ। – অনেক বেশি এক্সটেন্সিভ টেকনোলজিতে সাপোর্ট দেয়া, মেম্বারদের কোম্পানীর ব্রান্ড বিল্ডিং, ব্যবসায় পরিচালনাতে আমার এই দুই যুগের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যেন তারা তাদের বিজনেসে পজেটিভ চেঞ্জ নিয়ে আসতে পারেন। – মেম্বারদের সুবিধার্তে বেসিস থেকে গ্লোবাল মার্কেটে কাজ করার জন্য আলাদা সার্ভিস ডেস্ক নিশ্চিত করতে চাই। বেসিস নির্বাচন শুধুমাত্র নিছক একটি নির্বাচনই নয় আমার কাছে। আমি মনে করি – এই সুযোগে আমি অনেক বেসিস মেম্বারদের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে পারব, আমি নিজেও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে চাই। নির্বাচনের জয়-পরাজয় অনেক পরের আলোচনা, আপাতত সবার সাথে পরিচয় হওয়া, আমাদের প্রিয় এই ইন্ডাস্ট্রিকে সবাই মিলে কিভাবে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়া যায় তার পরিকল্পনা করা – এটা নিয়েই আমি বেশি এক্সাইটেড। এতদিন সবার কাছ থেকে যেমন স্নেহ- ভালোবাসা পেয়েছি, সেটির মূল্য যেন রাখতে পারি তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি। সবার সাথে দেখা হবে, অনেক প্রোডাক্টিভ গল্প হবে। ধন্যবাদ!